সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাসুদ রানা, ডিমলা প্রতিনিধি (নীলফামারী):
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় রোজার প্রায় চার সপ্তাহ আগে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে হঠাৎ বেড়ে যায় গরুর মাংসের দাম। সেই থেকে এখন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত চার সপ্তাহ ধরে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেড়েছে তেল, ডাল, চিনি ,ফলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। এসব প্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে এবারই প্রথম এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
ডিমলা সদর বাজারে মাংস কিনতে আসা রাশিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “রোজার শুরুতে দাম বেশি হওয়ায় ভেবেছিলাম, কয়েক রোজা গেলে দাম কমবে অথচ রোজার তিন সপ্তাহ যাওয়ার পরও গরুর গোশতের দাম কমেনি। আদৌ কমবে কিনা, জানি না। এক কেজি মাংসের মধ্যে ৩০০ গ্রাম হাড় দেয়, কিছু বলার থাকে না। গরুর মাংসের দাম এত বাড়তি কেনো এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও কোনো উদ্যোগ নেই।”
মাংস বিক্রেতা লেবু হোসেন বলেন, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করছি তবে কেউ পরিমানে বেশি নিলে একটু কম রাখছি। গরুর দাম বেড়েছে, তাই মাংসের দামও বেড়েছে। আগে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৩ থেকে ৪ মণ মাংস এখন দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে, সারাদিনে ২ মণ বিক্রি করাও কষ্টসাধ্য বিষয়।
এ বিষয়ে প্রভাষক মোঃ খালেকুজ্জামান বলেন, রোজার মাসে মাংসের কেজি ৬০০ টাকা হওয়া একদমই উচিত নয়। এমনিতে সব জিনিসের দাম বাড়তি। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কঠোরভাবে বাজার তদারকি না করলে অচিরেই মাংসের কেজি এক হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকবে। যে হারে গরুর দাম বাড়ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হারে কেন মাংসের দাম বাড়ছে। এ বিষয়ে নজর দেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।